ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা 'সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত' হয়ে পড়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শক্তি প্রদানকারী জেনারেটর গুলির প্রয়োজনীয় জ্বালানি টুকুও শেষ হওয়ার সম্বন্ধে তারা সতর্কবার্তা প্রদান করেছেন। এই ভয়ানক পরিস্থিতিতেও ইজরায়েলি বিমান হামলা কমেনি, যার জেরে প্রায় ৩২ টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ১২ টি হাসপাতালে চিকিৎসা কর্ম কার্যত আতঙ্কের জেরে বন্ধ থেকেছে।
গাজায় কর্মরত জরুরিকালীন চিকিৎসক ডা: ঘূনাঈম মোহাম্মদ ইজরায়েল কতৃক আল শিফা হাসপাতালে বোমাবর্ষণের এবং ইজরায়েলি অবরোধের ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর প্রভাবের ভয়ঙ্কর বর্ণনা দিয়েছেন। তার মতে হাসপাতাল গুলিতে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ছাড়াও বিদ্যুৎ এর অভাবও রয়েছে। যার জেরে সার্জারি বিষয়ক চিকিৎসা মূলত বন্ধ রাখতে হয়েছে।
ইজরায়েলি হামলায় স্বীকার হওয়া ২০ লক্ষ্য ফিলিস্তিনির চিকিৎসা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মুনির আল বুর্শ। তার মতে চিকিৎসার জন্য যেটুকু সরঞ্জাম তাদের হাতে রয়েছে তা এত সংখ্যক পীড়িত জনগণের জন্য কোনোমতেই যথেষ্ট নয়। তিনি আরও জানিয়েছেন যে গাজায় যে সমস্ত চিকিৎসা দ্রব্য পৌঁছানোর কথা ছিল তা এখনো হাতে পাননি তারা!
বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এবং সর্বপরি গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সতর্কবার্তা কে কার্যত উপেক্ষা করেই ইজরায়েল তার হত্যাকাণ্ড অক্ষুন্ন রেখেছে এবং এখন মূলত স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলিকে তারা তাদের নিশানা বানিয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী ইজরায়েল গাজা উপত্যকার ২২টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং হাসপাতালে অনবরত বোমাবর্ষণ করেছে যারা জেরে প্রায় ১৫,২৩৭ জন রোগী প্রাণ হারিয়েছে। হাসপাতাল গুলিতে অনবরত বোমাবর্ষণ এর জেরে , মূলত গত সপ্তাহে ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে বোমা বর্ষেমর দরুন প্রায় ৫০০ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে।
পাশ্চাত্যের দেশগুলি এত চাক্ষুষ প্রমাণ সত্বেও ইজরায়েলের এ হেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আক্রমন কে যুদ্ধ অপরাধ বলে মনে তো করবেই না বরং এর বিরুদ্ধ কিছু প্রমাণ জোগাড় করতে তারা নিজেকে ব্যাস্থ রেখেছে।
If you have any doubt, pls let me know