ভারতে আয়োজিত হওয়া এই বিশ্বকাপে শুরু থেকেই অপ্রতিরোধ্য ফর্মে খেলছিল টীম ইন্ডিয়া। ফাইনালে জয়ী হওয়া অস্ট্রেলিয়াকে এর আগেই টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে পরাজিতও করেছিল রোহিতবাহিনী। এর পর একের পর এক ম্যাচ অনায়াসে জয়লাভ করতে থাকে তারা। বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে পৌঁছানো বাকি ৩ টে দল ( সাউথ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া) কে রাউন্ড পর্বেই পরাজিত করে ভারতীয় টীম। নকআউট পর্বে নিউজিল্যান্ড কে ৭০ রানের ব্যবধানে পরাজিত করে ফাইনাল পর্বে নিজের জায়গা করে নেয় তারা।
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া প্রথমে দুটো ম্যাচে ব্যর্থতার পর বাকি ম্যাচগুলোতে জয়লাভ করতে থাকে । নকআউট পর্বে ইডেন গার্ডেনে সাউথ আফ্রিকাকে এক টানটান ম্যাচে ৩ উইকেটের ব্যবধানে পরাজিত করে ফাইনালে নিজেদের জায়গা করে নেয় তারা। যদিও প্রাথমিক কয়েকটা ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার টীম কে ততটা স্থিতিশীল বলে মনে মনে হচ্ছিল না। তা সত্বেও সমস্ত প্রতিকূলতা কাটিয়ে অস্ট্রেলিয়ান টীম গতানুগতিকভাবে আবার সাফল্য অর্জন করে।
ফাইনলা ম্যাচ এর দিন টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করে চেজ করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া বাহিনী। রোহিত এবং গিল এর ওপেনিং জুটি প্রথম কয়েকটি ওভারে ৯ এর রান রেটে ছুটলেও তার পরক্ষণেই যেন দুঃস্বপ্ন নেমে আসে ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপে। ভারতীয় ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা বোলিং দের অ্যাটাক করতে থাকলেও ৭ বলে মাত্র ৪ রান করে শীঘ্রই পতন ঘটে শুবমান গিল এর। ৩১ বলে 47 রান করার পর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ওভারে ট্রেভিস হেড এর হাতে ধরা পড়েন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কোহলি ( ৬৩ বলে ৫৪) এবং রাহুলের(১০৭ বলে ৬৩) স্লো ইনিংস ভারতীয় টীমকে কিছুটা রানের সন্ধান দিলেও আশানুরূপ স্কোরে পৌঁছাতে পারেনি তারা। জাদেজা সহ আইয়ার এবং সুর্যকুমার যাদবের ব্যাটিং ব্যর্থ হয় ফাইনাল ম্যাচে। অবশেষে ৫০ ওভারে ভারতীয় দল আল আউট হয়ে গেলে ২৪১ রানের লক্ষ্যে দাড়াতে হয় অস্ট্রেলিয়াকে।
অন্যদিকে দ্বিতীয় পর্বে ভারতীয় দল বোলিং লাইন আপ চেঞ্জ করে অস্ট্রেলিয়ানদের চাপে রাখার জন্য। মাত্র ৬ টি ইনিংসে ২৩ উইকেট এর অধিকারী মোহাম্মদ শামিকে বুমরার সাথে পাওয়ার প্লে তে বোলিং এর জন্য নিয়ে আসা হয়। শামী তার প্রথম ওভারে ডেভিড ওয়ার্নার (৩ বলে ৭ রান) এর উইকেট ছিনিয়ে নিয়ে ফাইনাল পর্বে প্রাণ সঞ্চার করেন। এর পর বুমরাহর হাতে ধরা পড়েন স্টিভ স্মিথ(৯ বলে ৪ রান) এবং মিচেল মার্শ(১৫ বলে ১৫ রান) এর মত দুটি গুরুত্বপূর্ন উইকেট। কিন্ত পরক্ষণেই আর উইকেট বের করতে পারেনি কোনো ভারতীয় বোলার। ট্রেভিস হেড ( ১২০ বলে ১৩৭) এবং লাবুসেন (১১০ বলে ৫৮) এর অপ্রতিরোধ্য জুটি অস্ট্রেলিয়ান টীমকে সাফল্যের দরজায় টেনে নিয়ে যায়। মাত্র দুই রান বাকি থাকতে ট্রেভিস হেড আউট হন মহম্মদ সিরাজ এর বলে । গ্লেন ম্যাক্সওয়েল পরক্ষণে নেমে সেই অসম্পূর্ণ কাজ পূরণ করেন ৪২ বল বাকি থাকতে। অস্ট্রেলিয়া ২০২৩ বিশ্বকাপে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা টীম ইন্ডিয়া কে ৬ উইকেটের ব্যবধানে পরাজিত করে ষষ্ট বারের জন্য চ্যাম্পিয়ন ঘোষিত হয়।
I hate u
ReplyDelete