২০১১ সালে ইনি ছিলেন প্রিন্স কোহলি কিন্তু বর্তমান ২০২৩ এ দাড়িয়ে তিনি হয়েছেন কিং কোহলি । টিম ইন্ডিয়া যখনই বিপদ পড়েছে তখনই বিরাট নামক এই যোদ্ধা তার ব্যাটিং অস্ত্র দ্বারা প্রতিপক্ষের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে । চলতি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তার প্রমাণ ও তিনি দিয়েছেন ।
প্রিন্স নামে অভিভূত শুভমান গিল তার ক্রিকেট জীবনের প্রথম বিশ্বকাপ খেলছে , যা সমস্ত ইয়াংস্টার দের কাছে অনুপ্রেরণামুলক। ডেঙ্গু তে আক্রান্ত থাকায় প্রথম দুটি ম্যাচ খেলতে না পারলেও পরে টিম এ যোগদান করেন এবং রোহিত এর সঙ্গে ওপেনিং এ নেমে নিজের দায়িত্ব পালন করেন । আশানুরূপ তেমন ভালো প্রদর্শন না করতে পারলেও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা আশাবাদী যে রোহিত - গিল ওপেনিং জুটি এই বিশ্বকাপ কাপাবে ।
বর্তমানে মিডল অর্ডার এর ভরসা যোগ্য ক্রিকেটের রাহুল। দলের প্রয়োজনে মাঝে মধ্যে যেমন ধীরে ইনিংস খেলেন তেমনি তার ক্লাসিক্যাল শর্ট এর দ্বারা বিপক্ষ বোলারদের ঘাম ছোটাতে ভুলেননি । অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কোহলি - রাহুল এর এই জুটি ভারতকে হারের মুখ থেকে বাঁচিয়ে সমস্ত ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে নিজেদের ছাপ রেখে দিয়েছে ।
ভারতীয় ক্রিকেটবিদ - "হর্ষ ভোগলে" বলেন আইয়ার নাকি ভগবান প্রদত্ত প্রতিভা । বিশ্বকাপে নিজের শুরুটা ভালো ভাবে না করতে পারলেও তার পরের ম্যাচ গুলিতে চাপের মুখে ব্যাটিং প্রদর্শনীর মাধ্যমে নিজের জাত চিনিয়ে দিয়ে হর্ষ ভোগলে কে সত্য প্রমাণ করেছেন।
বিশ্ব ক্রিকেটে 3D( ব্যাটিং+ বোলিং+ ফিল্ডিং এ সমান পারদর্শী) ব্যাটসম্যান নামে খ্যাত স্যার জাদেজা তার স্পিন এর ভেলকি তে অনেক ব্যাটসম্যান কে পরাস্ত করে সাজঘরে পাঠিয়েছেন , যদিও এই বিশ্ব কাপে এখনও ব্যাটিং করার সুযোগ আসেনি কিন্তু দলের প্রয়োজনে ভারতীয় এই তারকা বোলিং অলরাউন্ডারকে ফিনিশিং এর ভূমিকায় দেখা যেতে পারে।
বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা শার্দুল কে ভালবেসে লর্ড বলতে পছন্দ করেন । অস্ট্রেলিয়া এর বিরুদ্ধে টিম এ সুযোগ না পেলেও পরবর্তী PAK ম্যাচে কামব্যাক করেন এবং AFG ,BAN ম্যাচে বেশ মূল্যবান কতগুলি উইকেট নিয়ে ক্যাপ্টেন সহ পুরো টিম এর মুখে হাসি ফোটান।
চায়নাম্যান নামে পরিচিত এই বা হাতি স্পিনার বর্তমানে তার বাহাতের ঘূর্ণির , গুগলির জাদুতে বহু ব্যাটিং পার্টনারশিপ ভেঙে দিয়েছে এবং তাবড তাবড ব্যাটসম্যান কে আউট করে নিজের কামব্যাক এর রেড অ্যালার্ট জারি করেছেন।
নিজের কোমরের সার্জারির জন্য দীর্ঘ ১১ মাস ক্রিকেট এর বাইরে থাকলেও ২০২৩ বিশ্বকাপে টিম এ এসে পেস -বোলিং ইউনিট এর নেতৃত্ব দেন এবং নিজের বিষাক্ত ইয়র্কার, তীক্ষ সুইং এবং নিজের গতিতে বিপক্ষ দলের ব্যাটিং অর্ডার এ ধস নামিয়ে দিয়ে আবারও বিপক্ষ দলের কাছে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বুম বুম বুমরাহ।
PAK+SL তে সদ্য আয়োজিত হওয়া এশিয়াকাপের নায়ক ছিলেন মিয়া ভাই সিরাজ ।তার বোলিং এর উপর ভরসা করেই রোহিত শর্মার নেন্তৃতে টিম ইন্ডিয়া ২০২৩ এ এশিয়াকাপ জিতে। ২০২৩ বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত আশানুরূপ কিছু করতে পারেননি সিরাজ কিন্তু ইন্ডিয়ান টিম এর ম্যানেজমেন্ট আশাবাদী যে সিরাজ ভালো কিছু করবে এবং তার উপর পূর্ণ আস্থা রাখা হচ্ছে ।
শুভ্মান গিল এর অনুপস্থিতিতে প্রথম দুটি ম্যাচে এ ওপেনিং এর সুযোগ পেলেও তেমন কিছু করে দেখাতে পারেনি কিষান । যদিও শুধুমাত্র দুটো ম্যাচ দেখে বিচার করা ঠিক নয় কিন্তু BCCI টিম এর সূত্র মারফত জানানো হয়েছে শুভ্মান গিল যতদিন পর্যন্ত পর্যাপ্ত থাকবেন ততদিন পকেট dynamo (kishan)কে নিয়ে কিছু ভাবছে না টিম ম্যানেজমেন্ট ।
টি ২০ ইন্টারন্যাশনাল র্যাঙ্কিয় এ ১ নম্বরে থাকা ভারতীয় ABD নামে পরিচিত SKY। তার মারকাটারি আন্দাজ , মাঠের চারিদিকের শর্ট মারার দক্ষতা , ফ্লিপ শর্ট এর নিপুণতা যে কোনো বোলার এর রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট । সূত্র মারফত খবর অনুযায়ী T20 স্পেশালিস্ট SKY কে ফিনিশিং এর ভূমিকায় দেখার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে টিম ম্যানেজমেন্ট ।
অভিজ্ঞতার আরেক নাম যেনো মোহাম্মদ শামী। ওয়ান ডে ফরম্যাটে এখনও পর্যন্ত ৯৪ টি ম্যাচে ১৭০ টি উইকেট রয়েছে ৫.৫৭ ইকোনমির সহিত । সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী ধর্মশালার আর্দ্রতা যুক্ত ময়দানে তৃতীয় বোলিং অপশন হিসেবে শামীকে নেওয়ার জোর পরিকল্পনা চলছে । শামী এই সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকবে ।
If you have any doubt, pls let me know