যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে 'স্বপ্ন' হত্যার আজ ২ সপ্তাহ হয়েই এল। র্যাগিংয়ের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে DSF এবং WTI সহ বিভিন্ন 'স্বাধীন' নেতাদের। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক দাবিই হলো স্বপ্নদীপের হত্যার বিচার এবং ইউনিভার্সিটি সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগিং কালচার বন্ধ করা। কিন্ত Zee ২৪ ঘন্টা, রিপাবলিক বাংলা সহ বিভিন্ন দালাল মিডিয়া এই আসল পয়েন্ট থেকে সরে গিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বিরোধী ন্যারেটিভ তৈরির চেষ্টায় মত্ত।
আমরা দেখেছিলাম কিভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত দালাল মিডিয়া সহ বিজেপি আইটি সেল জেএনইউ এর ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের মনে ধারণা প্রতিষ্ঠা করেছিল যে এরা 'দেশবিরোধী '। সিসিটিভি থাকা সত্ত্বেও আরএসএসের সন্ত্রাসবাদীরা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে ছাত্র-ছাত্রীদের পিটিয়ে অনায়াসে নিস্তার পেয়েছিল। রাষ্ট্রের পুলিশ দ্বারা জামিয়া মিলিয়া তে ছাত্র - ছাত্রীদের উপর সন্ত্রাস নামিয়ে আনার ঘটনা ও কারোর অজানা নয়।
ঠিক একইভাবে বাংলায় রাষ্ট্রের দালাল বিভিন্ন হলুদ সাংবাদিকরা আসল ঘটনা থেকে সরে গিয়ে জনগনের মনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বিরোধী বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিচ্ছে। তারা প্রচার করছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা ‘মাতাল’, ‘যৌন পিপাসু’ ইত্যাদি । খুব সূক্ষ্ম ভাবে লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে ছাত্রহত্যা নিয়ে যদি এদের এত মাথা ব্যাথা থাকতো তাহলে দেশের নাম করা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বছরের পর বছর ধরে ছাত্র আত্মহত্যা নিয়ে এরা সামান্য হলেও বাক্য ব্যায় করত। ডিসিপ্লিন শেখানো রামকৃষ্ণ মিশনে ছাত্র আত্মহত্যায় প্রশ্ন তুলত। সমস্ত প্রতিষ্ঠানে যাতে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা এবং র্যাগিং কালচার বন্ধ হয় সেটা নিয়ে জনগণকে বার্তা দিত বা কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করতো। প্রশ্ন করাই যেত যে এই সব স্বাধীন সংগঠনগুলো মাথা কারা? কালেকটিভ কাদের তৈরি। তৃণমূল নেতা তন্ময় ঘোষ বা বিজেপি নেতা মোহিত রায়দের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার তো এদের অজানা নয়। প্রশ্ন করা যেত যে রাজ্যপাল ছাত্র মৃত্যুর পর তড়িঘড়ি উপাচার্য নিয়োগ করছেন, এতদিন স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ হয়নি কেন?
কিন্ত এসব ছাড়াও প্রভুভক্ত দালাল মিডিয়ার বড়ো দায়িত্ব হলো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দাঙ্গা-বিরোধী ছাত্র ছাত্রীদের কোমর ভেঙে সেখানে হিন্দুত্ব সন্ত্রাসীদের পৌঁছানোর পথ প্রশস্ত করা। যাতে করে জেএনইউ সহ জামিয়া মিলিয়ার মত ঘটনার আবার পুনরাবৃত্তি হয়।
If you have any doubt, pls let me know