৮ জুলাই রাজ্য জুড়ে সম্পূর্ন হয়েছে পঞ্চায়েত ও গ্রামসভা নির্বাচন। তার ঠিক 2 দিনের মাথায় ঘোষণা করা হয়েছে নির্বাচিত প্রতিনিধি দের নাম। এর মধ্যে প্রতিবারের মতো এবার ও শাসক দলের বিরুদ্ধে এসেছে ভোট কারচুপির অভিযোগ। শাসক দল তৃণমূল এর বিরুদ্ধে জায়গায় জায়গায় জোট করে নির্বাচন এ অংশ নিয়েছে সি পি এম, কংগ্রেস ও আই এস এফ। চলেছে তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জোট সঙ্গীদের লড়াই, মরেছে সাধারন মানুষ কর্মী হিসেবে। কোথাও আবার ৫ বছর লুটে খাওয়ার জন্য দেদার ঢালাও হয়েছে পয়সা। ভোটের সময় পকেট গরম করিয়ে সারাবছর লুটে খাওয়ার পরিকল্পনা করে বসে আছেন অনেকেই। সব মিলিয়ে এই তথাকথিত গ্রাম্য গণতন্ত্র যে খেটে খাওয়া মানুষের জন্য পরিহাস তার চাক্ষুষ প্রমাণ ৫ বছর পর আবার ফিরে এসেছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচন ও কিছু কথা
July 17, 2023
1
এর মধ্যে উল্লেখ করতে হয় ভোট সন্ত্রাসের কথা। গণতন্ত্র বলে আমরা জানি " মানুষের জন্য, মানুষের দ্বারা, মানুষের প্রতিনিধি" বেছে নেয়ার যে ব্যবস্থা , কিন্ত আমরা নিজের চোখে দেখেছি মানুষ কে নির্বাচনের সুযোগ না দিয়ে তার অধিকার নিয়ে গা জড়ামি করা। ক্ষমতা দখলের স্বপ্নে মশগুল হয়ে সুবিধাবাদী দের সঙ্গী করে গ্রাম দখল করে নেয়া। সংবিধান অনুযায়ী আমাদের দেশ গণতান্ত্রিক , যেখানে অধিকার আছে প্রত্যেক টা জনগণের মতামত দেয়ার । কিন্ত আমরা দেখেছি সে অধিকার আজ ও কিছু ক্ষমতাশীল ব্যক্তিদের হাতেই রয়েছে। তারা সন্ত্রাস করে , স্বাসস্ত্র পদ্ধতিতে ক্ষমতা দখল করলে সেটা আইনত অপরাধ না হলেও জল , জঙ্গল ,জমিনের জন্য লড়াই করতে থাকা মানুষদের সংগ্রাম আইনত অবৈধ কিভাবে। আইনি ব্যবস্থা ও কি তাহলে মুষ্টিমেয় ক্ষমতাশীল ব্যক্তিদের স্বার্থে?
প্রতিবারের মতো এবারও সবচেয়ে বেশি ভোট- নরবলির স্বীকার হয়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এর মানুষ। ভোট পূর্ববর্তী হিংসায় প্রাণ হারানোর 20 জন ই মুসলিম! ভোট পরবর্তী হিংসায় মারা গেছে ১৫ জন যার বেশিরভাগ ই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন। রাজ্য সরকার ও বিরোধী দল গুলো ক্ষমতা দখলের খেলায় সাধারণ মানুষ কে লেলিয়ে দিয়েছে একে ওপরের বিরুদ্ধে, যেখানে লড়াই হওয়া উচিত ছিল খেটে খাওয়া শ্রেণীর সাথে লুটে খাওয়া শ্রেণীর। এ হেন নির্বাচন এ জনগণের কি মঙ্গল তা ভাববার বিষয়।
Tags
Share to other apps
Shuor der khoar venge felte hbe🤧
ReplyDelete