বাংলা হোক বা বিহার, কর্ণাটক হোক বা কেরালা...এক চিত্র সর্বত্রই সমান। দুর্নীতি, চাটুকারিতা, আর নেতৃবৃন্দের অসভ্যতা। সে কর্ণাটকের বিধান সভায় বসে Porn video দেখা হোক অথবা কলকাতার বুকে দাড়িয়ে "ত্রিপল" এর অবাধ লুট। কোনো বিশেষ ব্যক্তিত্ব কে নিয়ে ফ্যান্টাসি মানব জাতির বৈশিষ্ট। তার প্রিয় ব্যক্তি যতই চুরি জোচ্চুরি করুক আপনার কাছে তার প্রতিটি কাজের ব্যাখ্যা থাকবেই। আপনি হতে পারে স্কুলে পদার্থ বিদ্যার প্রশ্নে বা কোনো কবিতার প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিতে অপারগ হয়ে মাস্টারের কাছে অপদস্থ হয়েছেন, কিন্তু রাজনৈতিক ব্যাখ্যা সর্ব স্তরের। এতে variation হলে রসায়ন এর "Exception" এর মত "আমি অরাজনৈতিক" ব্যাখ্যাও আছে। আপনার পাড়ার নর্দমায় জল আটকে বাড়ির সামনে দুর্গন্ধ, অস্বাস্থ্যকর জল পেরিয়ে আপনি দৌড়ে যাচ্ছেন "দাদা ভোট টা দিতে হবে"। না আমি মানা করছি না, আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার আপনি প্রয়োগ করতেই পারেন, আমি এই গণতান্ত্রিক উৎসবের অঙ্গ হচ্ছিনা কেনো এই নিয়ে আমাকে "একটা ভোটের অনেক মূল্য" লেকচার দিতেই পারেন।
কর্নাটকে আজ "বিপ্লবের দিন"। ৪০% কাট মানির সরকার পরে "সেকুলার মধ্যপন্থী উদারবাদী উন্নয়ন কেন্দ্রীক" কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসীন হয়েছে। এই নিয়ে প্রাইম টাইম থেকে খবর, ছড়াছড়ি। কিন্তু কলকাতার রাজপথে বসে থাকা চাকরি প্রার্থীর ভিড়ে আজ সরকারি দুর্নীতির শিকার সাধারণ কিছু ছেলে মেয়ে এসে যোগ হলো। না এরা এক মঞ্চে নয়, বরং একে অপরের প্রতি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। নবান্নের "পিসি" সরকার এর যাদুবলে আজ দুই নিপীড়িত পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়ছে।
নবান্ন পেরিয়ে আলিমুদ্দিন জেঠু আজ দ্বন্দ্বে জড়িয়ে। মার্কসীয় dialectics কিনা জানা নেই, তবে কাদের সমর্থন কুড়াবেন এটা নির্নয় যথেষ্ট কঠিন। সাদা ধুতির কচি গুলো দ্বন্দ্বে পরতে নারাজ। তারা সকলের সমর্থন করে। মুরলিধরে কিছু হনুমান আবার লোকের হাতের খাওয়ার কেড়ে নিয়ে পালাতে ব্যস্ত। না সাধারণ খাওয়ার নয়, রাজনৈতিক খাদ্য। "বাম বাড়ছে" ভয়ে "রাম" কে ব্যবহার হয়তো এখন কাজ দিচ্ছে না। মুর্শিদাবাদের স্বাধীন বাংলার "নবাব" একটু জমি দখল করে মোঘল সাম্রাজ্যের মত বিস্তৃত অঞ্চলের অধিপতির ভাব নিচ্ছেন। অধীর আগ্রহে আকাঙ্খা করছেন কবে কলকাতার মসনদে আবার সিদ্ধার্থের বাণী ছড়িয়ে দিতে পারবেন।
বাংলায় রাজনৈতিক নাটক নতুন নয়। নেকু পুশু দের "রাজনৈতিক সৌজন্যতা" এখানে যথেষ্ট বেমানান। যতক্ষণ না শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বিশৃঙ্খল হয়ে কলকাতা পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন না লাগলো ততক্ষণ তো আবার আন্দোলন "কলকাতা কেন্দ্রীক মিডিয়ার" নজর পায়না।
সু -মনে জাগে প্রশ্ন। এই circus দেখতেই কী এই বঙ্গে জন্ম? Airport এর সামনে "experience bengal" এর অনেক বড় logo আছে। কিন্তু মনে ভয় এটাই, বাংলার এই নাটকের দেখানো সাধারণ এর জীবন যন্ত্রণা so called "কাগুজে বাঘ" হিসাবে উপভোগ করে নিজেকে যথেষ্ট হীন ও নীচ মনে হয়।
-সংগৃহীত
বাস্তবিক, এসব ভোটের নাটক চলতেই থাকবে
ReplyDelete