জম্মু - কাশ্মীর এর পুলওয়ামায় ভারতীয় জওয়ান দের উপর নৃশংস হামলা জনগণকে মর্মাহত করেছিল। শেষ এই ঘটনার পর থেকে ঘৃণার রাজনীতি ক্রমশ বৃদ্ধিও পায়, হামলার দায় নিয়ে একে উপরের প্রতি কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি চলেছে বহুকাল। তবে রাজনৈতিক ভাবে কেউ উপকৃত হয়ে থাকলে সেটা নিঃসন্দেহে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার। ভোট আসলেই বারবার মুখে আসে প্রতিশোধ নেয়ার বীরত্ব। বিরোধীরা ও সুর মেলায় জওয়ান দের নিরাপত্তা নিয়ে। তবে বর্তমান সময়ে ফাঁস হয়েছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জম্মু ও কাশ্মীরের তৎকালীন রাজ্যপাল এক নিউজ চ্যানেল সাক্ষাৎকারে সামনে এনেছেন একাধিক গোপন তথ্য। পুলওয়ামার অপদার্থতা নিয়ে নাকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে চুপ থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন । পুলওয়ামায় সিআরপিএফ'র কনভয়ে হামলার খানিকক্ষণ পর শ্যুটিং সেরে করবেট ন্যাশনাল পার্কের বাইরে বেরিয়ে মোদী সেদিন ফোন করেছিলেন সাবেক জম্মু- কাশ্মীর রাজ্যের তৎকালীন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিককে। নিরাপত্তার যা যা গাফিলতি সেদিন তাঁর চোখে ধরা পড়েছিল তার সবটাই তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন। সব শুনে প্রধানমন্ত্রী মোদী নাকি তাঁকে চুপ থাকার নির্দেশ দেন।
শুধু পুলওয়ামা কান্ড নয়, ৩৭০ ধারা থেকে মোদী আর তাঁর মন্ত্রীদের মুসলিম বিদ্বেষ , বিবিসির তথ্যচিত্র সহ রাহুল এর মন্ত্রীত্ব কেড়ে নেওয়া এবং আদানি নিয়েও এদিন মুখ খুলেছেন কাশ্মীর , গোয়া এবং মেঘালয়ের এই রাজ্যপাল মালিক।
লোকসভা ভোটের ঠিক আগে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলা আর ভোটের বেশ কিছুদিন পর আগস্ট মাসে ৩৭০ ধারা বাতিলের সময় এই সত্যপাল মালিকই ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল। দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে কোনো রাখঢাক না করে তিনি জানিয়েছেন, পুলওয়ামার ওই হামলা ছিল ভারতীয় ব্যবস্থা এবং বিশেষ করে সিআরপিএফ এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের "অপদার্থতা' এবং *অবহেলার ফল। সেসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন রাজনাথ সিং। কীভাবে সিআরপিএফ তাদের জওয়ানদের নিয়ে যাওয়ার জন্য বিমান চেয়েছিল, কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তা খারিজ করে দিয়েছে, সাক্ষাৎকারে মালিক তার বিস্তারিত ফাঁস করেছেন। একথাও জানিয়েছেন, কনভয় যাওয়ার আগে। যথাযথভাবে রুট স্যানিটাইজ করা হয়নি সেকথাও। ৪০ জন জওয়ানের মৃত্যুর জন্য অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার অভাবই দায়ী, স্পষ্ট বলেছেন মালিক।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, হামলার পর প্রথম কথোপকথনে মোদীকে এসবের পুরোটাই জানিয়েছিলেন। কিন্তু মোদী তাঁকে সব চেপে রাখার নির্দেশ দেন। আলদা করে ব্যাপারটা নিয়ে মালিক কথা বলেছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে। কিন্তু দোভালও তাঁকে এসব নিয়ে কারো সঙ্গে কথা না বলার নির্দেশ দেন। মালিকের কথায়, তখনই তিনি বুঝে যান উদ্দেশ্যটা হলো পাকিস্তানের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে সরকার আর বিজেপি'র জন্য নির্বাচনী ফয়দা লোটা।
কাশ্মীর পৃথীবির অন্যতম মিলিটারাইজড জোন। সেখানে ৩০০ কেজি এক্সপ্লোসিভ সিআরপি-র কনভয়ের রাস্তায় রেখে দেওয়া, আধাসামরিক বাহিনী, ইন্টেলিজেন্স বা সরকারের কোনো বড়ো মাথার কাছ থেকে সরাসরি সাহায্য ছাড়া সম্ভব হয় না। কিন্তু এইরকম ঘটনা ঘটিয়েই, "ফিয়ার সাইকোসিস" অর্থাৎ নিজেদেরই তৈরী কৃত্রিম শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করে ফ্যাসিবাদী আক্রমণ সংগঠিত করেছে আরএসএস বিজেপি। শাসক শ্রেণীর নিজেদের দ্বন্দ্বের ফলে এমন কিছু কিছু গোপন কথা উঠে আসে বটে, তবে বাস্তব আরো ভয়ানক।
Oo bro, big fan bro big fan
ReplyDeleteBig fan bro big fan
ReplyDeleteDirty politics and things
ReplyDeleteRightly said 👍
ReplyDelete